ফ্লিপচার্ট বা তথ্য সহায়িকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন
- ফ্লিপচার্ট বা তথ্য সহায়িকা ব্যবহারের পূর্বে নিজে পড়ে বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে নেয়া।
- অংশগ্রহণকারিদের সাথে কুশল বিনিময় করা।
- উপস্থাপন করার মত পরিবেশ তৈরি করা। (যেমন: ‘আলোচনার এ পর্যায়ে আপনাদের একটি ছবি দেখাবো’ – এ ধরনের ভূমিকা দিয়ে অংশগ্রহণকারিদের মনোযোগ আকর্ষণ করা)
- ছবি দেখিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু এবং এ থেকে অংশগ্রহণকারিরা কী জানতে পারবে তা তাদের বলা।
- আলোচ্য বিষয়ের বর্ণনা নিজের দিকে এবং সংশ্লিষ্ট ছবির পৃষ্ঠাটিকে অংশগ্রহণকারিদের দিকে রেখে আলোচনা করা।
- অংশগ্রহণকারিগণ ছবিগুলো ভালোভাবে দেখতে পারছেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া। সেই জন্য ক্লিপচার্ট বা তথ্য সহায়িকা এমনভাবে দেখানো প্রয়োজন যাতে সকল অংশগ্রহণকারি দেখতে পায়।
- ছবিগুলো দেখা ও ছবির বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য অংশগ্রহণকারিদের সময় দেয়া।
- অংশগ্রহণকারিদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করতে ও কথা বলতে উৎসাহিত করা।
- মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা।
- সংক্ষেপে সহজ ভাষায় তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া।
- কোন অবস্থাতেই রাজনৈতিক আলাপ করা যাবে না।
- কোন ধর্মকে অশ্রদ্ধা করে কোন মন্তব্য করা যাবে না।
- কোন গোষ্ঠী বা শ্রেণীকে অসম্মান করে মন্তব্য করা যাবে না।
- কোন অনিচ্ছুক বিষয় বলতে কাউকে চাপ প্রয়োগ না করা।
- সাংস্কৃতিকভাবে প্রযোজ্য এমন উদাহরণ দিন বা বিষয় আলোচনা করুন।
- সব সময় অংশগ্রহণকারিদের আগে কথা বলার বা মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া।
- শিক্ষার্থীদের সামাজিক গঠনমূলক কাজে সফলতার গল্প/সফল উদাহরণগুলো আগে বলা।
- অংশগ্রহণকারিদের ব্যক্তিগত প্রশ্ন (যেমন- পরীক্ষার ফলাফল, পারিবারিক আয় ইত্যাদি বিষয়ে) করা থেকে বিরত থাকা।
- কোন অংশগ্রহণকারিরা অন্যদের সামনে হেয় না করা।
- আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারিরা যা বুঝেছেন তা বলতে বলা বা ফিডব্যাক নেয়া।
- সুন্দরভাবে সমাপ্ত করা।
- সেশন শেষে ফ্লিপচার্ট বা তথ্য সহায়িকাটি যথাযথ স্থানে সংরক্ষণ করা।