ইপসা’র রোহিঙ্গা সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শনে পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক
স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন “ইপসা” ১৯৮৫ সাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী ও প্রশাসনের প্রশংসা অর্জন করে আসছে। ইপসা ২০০৮ সাল থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রত্যক্ষভাবে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭ সাল থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য সরকার, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, কক্সবাজার ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, কক্সবাজার এর সমন্বয়ে ও সহযোগিতায় এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদেনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় “পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)” এর সহযোগিতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে “পানীয় জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন কমপ্লেক্স নির্মাণ কার্যক্রম” সম্পন্ন করা হয়।
উক্ত কমপ্লেক্স এর শুভ উদ্বোধন করেন মো: আবদুল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিকেএসএফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামাল আহমদ, প্রেসিডেন্ট, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন, দিপেন কুমার সাহা, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার; পিকেএসএফ, জহিরুল আলম, নির্বাহী পরিচালক,আইডিএফ, মো: আরিফুর রহমান, প্রধান নির্বাহী; পলাশ চৌং, পরিচালক (অর্থ) ও ফোকাল পার্সন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট, মনজুর মোরশেদ চৌধুরী, পরিচালক (অর্থনৈতিক উন্নয়ন) ও ইপসা’র সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দসহ ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বালুখালী ২/২ এ “ইপসা” কর্তৃক পরিচালিত “বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ও সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল” এর সহযোগিতায় “সাধারণ খাদ্য বিতরণ কর্মসূচী” কেন্দ্র পরিদর্শন করেন । এসময় মো: আবদুল করিম কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীদের সাথে বাস্তবায়িত কর্মসূচীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। “হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ” এর সহায়তায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি-২ (বর্তমান ক্যা¤প – ১১, ১২ এবং ১৮) এলাকায় ““Response to the needs of Older People amongst Forcibly Displaced Citizens of Myanmar” প্রকল্পের আওতায় মিয়ানমার হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত নাগরিক, বিশেষত প্রবীণদের জন্য প্রবীণ বান্ধব কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উল্লেখিত সময় পরিবারহীন প্রবীণদের আত্মীয়/পরিবারের সাথে পুন:যোগাযোগ স্থাপন ও সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রম, প্রবীনদের প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান পরিদর্শন করেন এবং প্রবীণবান্ধব ল্যাট্রিন ও প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরন বিতরণ করেন।