“শিশুশ্রম নিরসনে করণীয় নির্ধারণ” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
“কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিশুশ্রম বেড়ে যেতে পারে, শিশু শ্রম নিরসনে নতুন পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনার প্রয়োজন।” গত ১২ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ‘শিশুশ্রম নিরসনে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদশর্ন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এবং স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা’র যৌথ উদ্যোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা আয়োজন করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ১৬ জন পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন আর সভা মডারেট করেন অধিদপ্তরের সহকারি পরিদর্শক ডাঃ বিশবজিত।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন ইপসা’র প্রকল্প সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন। তিনি বলেন, দেশের কয়েক লাখ শিশু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আমরা শিশু নির্যাতনের খবর পাই। কর্মক্ষেত্রে শিশুরা শিকার হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের। করোনা পরবর্তী সময়ে শিশুশ্রম আরো বেড়ে যাবে, শিশুশ্রম নিরোসনে পূর্বের পরিকল্পনার সাথে কোভিড-১৯কে মাথায় রেখে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত বলেন, শিশু শ্রম নিরসন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। কারণ এটির সাথে সম্পৃক্ত দারিদ্রতা। কোভিট :১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় বদ্ধপরিকর।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, শিশুদের অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্র, সমাজ ও আমাদের সবার দায়িত্ব। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এ নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, কারা শিশু। শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং সরকারি সংস্থার পাশাপাশি এসব কজে সংশ্লিষ্ট এনজিওসমূহকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
সভায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি রবার্ট কমল সরকার, ঘাসফুলের কর্মকর্তা জুবায়ের রশিদসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার যেমন- কারিতাস, ইলমা, বিটা’র প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকলে তাদের মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করেন!