ইপসার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্র মানাবাধিকারের ইতিহাসে একটি মাইলফলক দলিল। বিশ্বেও সকল অঞ্চলের বিভিন্ন আইনী ও সাংস্কুতিক প্রেক্ষাপটের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলি ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সকল জাতির কৃতিত্বের মান হিসাবে ঘোষণাটি গৃহীত হয়েছিল।
একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্টার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নম্বর ৩৬/৩৭ প্রস্তাব অনুসারে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত ৫৫/২৮২ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
ইপসা একশন এইড বাংলাদেশের অ্যাকশন ফর ইমপ্যাক্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সামাজিক কার্যক্রম, শিশু অধিকার নিশ্চিতকরন, স্থানীয় মানুষের অধিকার প্রতিষ্টা, নারী নির্যাতন,পারিবারিক নির্যাতন, বাল্য বিবাহ রোধ, যুবদের দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধি এবং যুবদের কার্যকরী অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং কমিউনিটি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও লক্ষ্যে কাজ কওে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইপসা অ্যাকশন ফর ইমপ্যাক্ট প্রকল্পের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস ২০১৮ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন স্টেডিয়ামের মাঠে আন্তর্জাতিক শান্তিদিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কবিগান, শান্তিপদযাত্রা ও মশাল প্রজ্জ্বলন এর আয়াজন করা হয়। দুপুর ২.৩০ মিনিটে বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের পর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের ধারণাপত্র পাঠের মাধ্যমে অনুষ্টানের সূচনা হয়।
যুবসম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শান্তি ও উন্নয়ন বিষয়ক বক্তব্য প্রদান করেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুব প্রতিনিধিরা। যুবপ্রতিনিধিদের বক্তব্যের পর অতিথিদের আলোচনা শুরু হয়। আলোচকরা আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি ধর্মীয় দিক থেকে সম্প্রীতি এবং সামাজিক বন্ধনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা পর্বের পর বিকাল ৪.৪৫ থেকে শুরু হয় কবিগান। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের উপর গুরুত্ব দিয়ে কবিয়ালরা তাদের গান পরিবেশন করেন। কমিউনিটিতে কবিগানের প্রোগ্রাম কম হওয়াতে কমিউনিটি নর নারীর কাছে উচ্ছ্বাসের এক নতুনমাত্রা যোগ করেছে। কবিগানের পর সন্ধা ৭টার দিকে ইপসা অ্যাকশন ফর ইমপ্যাক্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা, ইয়ুথ দলের সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিতে মশাল প্রজ্জ্বলন এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্টানপর্ব শুরু হয়।
অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশন ফর ইমপ্যাক্ট প্রকল্পের সমন্বয়কারী শ্যামশ্রী দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন ৩৩, ৩৪, ৩৫ নংওয়ার্ডেও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বেগম লুৎফন্নেছা দোভাষ বেবী। অনুষ্টানে অন্যান্য অতিথিরা হলেন ইসলামধর্মীয় প্রতিনিধি বাস্তুহারা জামে মসজিদের ইমাম, হিন্দু ধর্মীয় প্রতিনিধি অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, বৌদ্ধ ধর্মীয়প্রতিনিধি ভান্তে আর্যপ্রিয় মহাথেরো, ক্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিনিধি অশেষ রেমা।