Skip to main content
ইপসা জাতিসংঘের ”ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল কাউন্সিল” এর কন্সালটেটিভ স্টাটাস প্রাপ্ত একটি সংগঠন

সহস্রাধিক শীপইয়ার্ড শ্রমিক পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছে ইপসা

চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলা একটি শিল্প এলাকা। করোনা ভাইরাসের মহামারীর ঝুঁকি রোধে বন্ধ রয়েছে এখানকার শত শত শিল্প কারখানা, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প তাদের মধ্যে অন্যতম। এখানে, দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করতো হাজার হাজার শ্রমিক, যারা এখন লকডাউনে বন্দি। আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় এসব শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, ন্যায্য মজুরি এবং তাদের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সুযোগ সুবিধার জন্য এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন, ইপসা। করোনা ভাইরসের এমন দুর্দিনেও নিজস্ব অর্থায়নে  ১,০০০ শ্রমিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

বর্তমানে করোনা ঝুঁকি রোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় সরকারী নির্দেশনা মেনে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে এবং সুশৃংখলভাবে শ্রমিক পরিবারদের  মধ্যে খাদ্য সামগ্রী  উপহার হিসেবে বিতরণ করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইপসার কর্মীরা। এছাড়া যেসব শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে মারা গেছে কিংবা প্রতিবন্ধী হয়েছে তাদের বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসে তারা। দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে যেন এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে।

উপজেলার সোনাইছড়ি, আকিলপুর, পাক্কা মসজিদ, বগুলা বাজার, কদমরশুল, ভাটিয়ারী স্টেশন রোড, ভাটিয়ারী/মাদাম বিবির হাট জেলে পাডা, বিএমগেইট, টবাকো এলাকা, মাদামবিবি হাট, হাফিজ জুট মিল, গামারি তলা, ফুলতলা, আলেকদিয়া, কুমিরাসহ আরো কয়েকটি এলাকার শ্রমিক পরিবার ত্রাণের আওতাভূক্ত ছিল। সরকারের খুব কাছে থেকে সরকারকে নানা রকম তথ্য দিয়ে, কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে ইপসা তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী শাহিন।

তিনি আরো জানান, আমরা, www.ypsa.org, সীমিত পরিসরে খাবারের যোগান দেয়ার চেষ্টা করছি, সচেনতার কাজ শুরু করেছি দেশের অন্যতম উপকূলীয় এলাকা কিংবা শিল্প এলাকা সীতাকুণ্ডসহ আমাদের সকল কর্মএলাকায়! আল্লাহ’র রহমতে আজ সীতাকুণ্ডে আমরা সহস্রাধিক শ্রমিকের সাত দিনের খাবার পৌছে দিলাম তাঁদের দ্বারপ্রান্তে! সরকার, প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, দাতা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগীতায় এই প্রয়াস চলমান থাকবে!