Skip to main content
ইপসা জাতিসংঘের ”ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল কাউন্সিল” এর কন্সালটেটিভ স্টাটাস প্রাপ্ত একটি সংগঠন

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকারি ডিজিটাল সেবাসমূহকে আরও সহজলভ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে কর্মশালা

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকারি ডিজিটাল সেবাসমূহকে আরও সহজলভ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ‘Dissemination Workshop on Accessible Digital Service & Reading Material’ শীর্ষক এক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা যৌথভাবে আয়োজন করে এটুআই, ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) এবং অভিগম্য বই সংস্থা (অ্যাক্সেসিবল বুক কনসোর্টিয়াম)।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের বিভাগীয় উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ চৌধুরী; চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) মোছাম্মদ রাশেদা আক্তার; নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. বাসনা মুহুরী; এবং ইপসা’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. আরিফুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মোঃ রশিদুল মান্নাফ কবীর, এবং সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ইপসা’র সম্মানিত পরিচালক ( সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট) মিসেস নাছিম বানু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর অ্যাক্সেসিবিলিটি কনসালট্যান্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য্য এবং চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করছে- এমন বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও অংশীজনবৃন্দ।

কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারি ডিজিটাল সেবাসম্পর্কে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ধারণা বৃদ্ধি, তাদের অংশগ্রহণ আরও সম্প্রসারণ, তাদের অভিজ্ঞতা ও চাহিদা সরাসরি শোনা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নানা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় আরও উঠে আসে- চট্টগ্রামের উপকূলীয় ও দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ডিজিটাল সেবার কার্যকর বিস্তার এবং কারিগরি সহায়তার সুযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা। কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণ ও সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।