ইয়ুথ সলিউশন্স টেকনোলজি ফর স্কিলস অ্যাড এমপ্লয়মেন্ট পুরস্কার জিতল ইপসা
যবু সম্পদ্রায়ের মধ্যে উদ্ভাবনীমলূক ও সজৃনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতা ছড়িয়ে দিতে বিশবব্যাংক ও মাইক্রোসফটের উদ্যোগে একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের ৮০টি সংস্থা। আইসিটি দক্ষতার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী যবু কদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রকল্পের ধারণা দিয়ে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন তথা ইপসা ওই পুরস্কার জিতেছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী যবুকদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ, কর্মসংস্থান সহায়তা ও ডিজিটাল প্রবেশযোগ্য তথ্যপদ্ধতির প্রোডাক্ট তৈরি হবে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে গত ২১ মে ওই প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান ১৫ থেকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান পাবে।
বিশবব্যাংক ও মাইক্রোসফট গত ১৩ মার্চ দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশের যবু উন্নয়নে নিয়োজিত এনজিওগুলোর কাছ থেকে অনুদানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করে। প্রতিযোগিতায় বিচারকমন্ডলী ছিলেন বিশবব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েলা আগুইলার, মাইক্রোসফট শ্রীলঙ্কার কান্ট্রি ম্যানেজার শ্রীইয়ান, লাফার্জ মহায়েলি সিমেনেটর ব্যবসাহ পনা পরিচালক অনুরাগ ক্যাক প্রমুখ । বাংলাদেশের ইপসা ছাড়া এ পরুস্কার জিতেছে শ্রীলঙ্কার শিল্প সাইয়রুা ফাউন্ডেশন, নেপালের ইউওয়া এবং মালদ্বীপের লাইভ অ্যান্ড লার্ন এনভায়রনমেন্টাল এডুকেশন।
এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য গত ১৯ মে আমি কলোম্বর উদ্দেশে রওনা হই। একমাত্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিযোগী হিসেবে আমার উপস্থিতি এবং সাবলীল কমপিউটার ব্যবহার ছিল বিচারক ও প্রতিযোগীদের কাছে কিছুটা ব্যতিক্রমী। প্রস্তাবনা উপস্থাপনের জন্য সময় দেয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টশনের মধ্য দিয়ে আমার প্রকল্প প্রস্তাবনা তুলে ধরি, যার শিরোনাম ছিলো- Empowering Youth with Disability through Market Driven ICT। এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল উপযুক্ত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলা। এ প্রকল্পের অধীনে মোট ৪০ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে।
প্রেজেন্টশনের পর ১৫ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। মোট ৮০টি প্রস্তবনার মধ্যে থেকে শুধু ৮টি প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে ৪টি প্রস্তাব এ পুরস্কার পায়, যার মধ্যে ইপসা একটি।
এ পস্রঙ্গে ইপসার প্রধিান নির্বাহী মো: আরিফরু রহমান জানান, প্রকল্প প্রস্তাবে অনদুান চাওয়া হয় ১৯ হাজার ৪০০ ডলার। প্রকল্পে ইপসার অর্থায়ন থাকবে ৬ হাজার ডলারের মতো। বিশবব্যাংকের অর্থায়নে আশা করছি আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রকল্প প্রস্তাব থেকে প্রত্যোক দেশের একটি করে প্রকল্প অনদুানের জন্য বিবেচিত হয়েছে।
ইপসার পক্ষে পুরস্কারের ক্রেস গ্রহণ করেন সংস্থাটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এই লেখক। আমি নিজে একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। ইপসা একটি অলাভজনক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা। এটি যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করে। এর প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে। দেশের ১০৬টি উপজেলায় এর কার্যক্রম রয়েছে।
বাংলাদেশে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন তথা ইপসা দইু শ’র বেশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীকে কমপিউটার প্রশিক্ষণে উদতূভ করে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কর্ম সংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অংশ নিচ্ছে।
আমরা আশা করছি, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়ে কাজ করতে সক্ষম হবেন।