Skip to main content
ইপসা জাতিসংঘের ”ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল কাউন্সিল” এর কন্সালটেটিভ স্টাটাস প্রাপ্ত একটি সংগঠন

সীতাকূণ্ডে “সহিংসতা রুখবো ,শান্তির দেশ গড়বো” এর উপর রেডিও টকশো অনুষ্ঠিত

“সহিংসতা রুখবো ,শান্তির দেশ গড়বো” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এক গনজনসচেতনতা মূলক প্রচারভিযান এর অংশ হিসেবে  গত ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ই্ং বিকাল ৪.০০ থেকে ৫.০০ মিনিট পর্যন্ত রেডিও টকশো অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত টক শো আয়োজন করেন সমাজ উন্নয়ন সংগঠন ইপসা ও রেডিও সাগরগিরি এফ এম ৯৯.২। টক শো উপস্থানায় ছিলেন শাহ সুলতান শামীম, ষ্টেশন ম্যানেজার, রেডিও সাগর গিরি এফ এম ৯৯.২। আলোচক ছিলেন মো: আব্দস সবুর , প্রচারভিযানের সমন্বকারী- ইপসা,  বিবেক কান্তি দাশ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি , নাজিম উদ্দিন , যুব প্রতিনিধি , ফারহানা তাসলিম (নিপা), নারী উদ্দ্যেক্তা।

প্রথমে আলোচনার জন্য আহবান করা হয় প্রচারভিযানের সমন্বকারী মো: আব্দস সবুর । উপস্থাপক জানতে চান আমার সাথে বাংলাদেশ “সহিংসতা রুখবো , শান্তির দেশ গড়বো” এই প্রচারভিযানের মূল উদ্দেশ্য ও প্রচারভিযানে কি কি উদ্যোগ গ্রহন করেছেন

“সহিংসতা রুখবো, শান্তির দেশ গড়বো” হচ্ছে একটি জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সহ্য ক্ষমতা বাড়ানো, একতা তৈরী এবং সহিংসতার বিকল্প খুজে বের করা। প্রচারাভিযানের মধ্যে রয়েছে টেলিভিশনের পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউসমেন্ট (পিএসএ), স্থানীয় লোকদের কর্মকান্ড এবং ফেসবুকে “বিডিউইথমি” সামাজিক গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা।

এই প্রচারাভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আবহমান বাংলাদেশী সামাজিক সম্প্রীতির মূল্যবোধকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে উৎসাহ দেওয়া সহ্যশক্তি বাড়ানো, একতাকে এবং সহিংসতার বিকল্প শান্তিজনক কাজকে। আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশী ১৬ টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও’রা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রচারাভিযানকে সহযোগিতা করছে। চট্টগ্রামে ইপসা ও ইলমা এই প্রচারাভিযান কার্যক্রম বাস্তবায়ন বায়ন করছে। প্রচারাভিযানটি শুরু হয়েছে ২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ থেকে এবং শেষ হবে ৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মদানের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ আমাদের সবার। একটি গোষ্ঠীর সংকীর্ণ স্বার্থের কারণে আমরা অপার ও পরিপূর্ণ সম্ভাবনার আমাদের প্রিয় দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে নষ্ট হতে দিতে পারি না। আসুন আমরা জেগে উঠি। ঐক্যবদ্ধ হই গড়ে তুলি শান্তি প্রিয় বাংলাদেশ ।

এরপর উপস্থাপক আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য আহব্বান জানান সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিবেক কান্তি দাশ কে । তার কাছ থেকে জানতে চান সহিংসতা রুখতে যুব সমাজের ভুমিকা কি হতে পারে এবং আপনার অবস্থান থেকে আপনি এই সহিংসতা প্রতিরোধে কি ভূমিকা রাখতে পারেন।

তিনি বলেন যুব সমাজকে একতাবদ্ধ হয়ে শান্তির দেশ গড়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড গ্রহনের উদ্দ্যেগ নিতে হবে। এই যুব সমাজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ছোট ছোট নেতিবাচক ঘটনা গুলো খুজে বের করে এবং এই নেতিবাচক ঘটনা গুলো পরিহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ,অধিপরামর্শ, র‌্যালি, মানববন্ধন এবং গন মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মেম্বার প্রতিনিধিদের সহযোগিতার বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করেন। যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।

এরপর উপস্থাপক আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য আহব্বান জানান যুব প্রতিনিধি , নাজিম উদ্দিন তার কাছ থেকে জানতে চান পারিবারিক , সামাজিক সহিংসতা ধরন কেমন ? সহিংসতা নিরসনে কি করতে পারি এবং কিভাবে ।

তিনি বলেন সমাজে যে সহিংসতা গুলো হয় সে গুলো এক দিনে হয় না ছোট ছোট সহিংসতা থেকে বড় ধরনের সহিংসতা গুলো হয়ে থাকে আমি মনে করি আমাদের যে শিক্ষাটা রয়েছে সেটা যদি আমরা সঠিক ভাবে কাজে লাগায় তাহলে সহিংসতা থাকবে না । সাংগঠনিক ভাবে একত্রিত হয়ে গনসচেতনতার মাধ্যমে সহিংসতা রোধে যুব সমাজের ভূমিকা অনেক বেশি কারন বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে যুব সমাজ আর এই প্রান শক্তিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর দায়িত্ব আপনার আমার আমাদের সবার তাহলে সুন্দও দেশ গড়া সম্ভব ।

এরপর উপস্থাপক আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য আহব্বান জানান নারী উদ্যেক্তা ফারহানা তাসলিম নিপাকে , জানতে চান আপনার এলাকায় নারী ও শিশুরা বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয় এই সহিংসতা কিভাবে দুর করা যায় আপনি একজন নারী হিসেবে আপনার ভূমিকা কি হতে পারে । তিনি বলেন বাংলাদেশে যে সহিয়সতা গুলো হয় সেগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বেশি শিকার হয় নারী ও শিশু এই সহিংসতার হাত থেকে তাদেরকে রক্ষার করার জন্য, নারীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা এবং শিশু শিক্ষার উপর জোড় দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি । আমাদের নারীদেরকে আগে এগিয়ে আসতে হবে তার কারন হচ্ছে নিজে থেকে যদি আমরা পিছিয়ে পরি তাহলে সহিংসতা বাড়তে থাকবে কমবে না আর সবাই একত্রিত হয়ে সাংগঠনিক ভাবে সহিংসতার বিভিন্ন আইন সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করতে হবে। সমাজ থেকে বিভিন্ন অপকর্ম যে গুলোর কারণে নারীরা বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয সেগুলো রোধ করতে হবে। এরপর উপস্থাপক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে টক শো সমাপ্ত করেন ।