Skip to main content
ইপসা জাতিসংঘের ”ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল কাউন্সিল” এর স্পেশাল কন্সালটেটিভ স্টাটাস প্রাপ্ত একটি সংগঠন

যুব মেলা ২০১৯ উদ্ভধোন করেন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন

গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর  শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব থিয়েটার আর্ট (বিটা) এবং একশনএইড বাংলাদেশের এর সহায়তায়  সম্মেলিত ভাবে আয়োজিত হয় দিন ব্যাপী  যুব মেলা। প্রধান অথিতি হিসেবে মেলার উদ্ভধোন করেন চট্টগ্রামের মেয়র জনাব আ জ ম নাসির উদ্দিন। এছাড়াও যুব মেলায় সিটি মেয়রের পাশাপাশি  অথিতি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন  চট্টগ্রাম শিশু একাডেমির জেলা সংগঠক নার্গিস সুলতানা, বিজিএমইএ এর সিনিয়র ডেপুটি  সেক্রেটারি মোঃ করিম উল্লাহ  চৌধুরী, চট্টগ্রাম  চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম  ওমেন চেম্বার অবকমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ  এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা এছাড়াও বিকেএমইএ এর  পরিচালক শওকত  ওসমান সহ অন্যান্য  অনেকেই।

এ মেলায় স্টলের মধ্যে উলেখযোগ্য ছিলো BRAC Bank, HR Desk, Star LED Company, RSRM, BSRM, বাংলাদেশ শিল্প ও কারীগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), যুব উন্নয়ন  অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম  মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  এছাড়াও বাংলাদেশ কোয়ারিয়া ট্যাকনিকেল ট্রেনিং সেন্টার ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ছিল আইরিশ  ফ্যাশন, তাজফুড ।

যুব মেলায় জবের রিকুটমেন্ট এর জন্য  BRAC Bank ১৮০  টি,  HR Desk ৮৫ টি,  SLC stark Ltd ১৩২ টি  RSRM ২০০টি  এবং BSRM ১৭৫ টি সিভি গ্রহণ  করেছে। এছাড়াও উক্ত মেলায় অংশগ্রহণকারী দক্ষতা উন্নয়ন সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাঁদের সেবা সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা যায় প্রশিক্ষণ  প্রদান কারী সংস্থাগুলো বিভিন্ন  মেয়াদে  ট্রেনিং দিয়ে থাকে যেমন  বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৪৪ টা ট্রেডে ১৬৪০ জন,  বাংলাদেশ  মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  ৯ টা ট্রেডে ১০২০ জন,  বাংলাদেশ শিল্প কারীগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৩টা ট্রেডে ৯০ জন এবং ইউসেপ ১১ টা ট্রেডে ৫২০ জন শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

যুব মেলায় চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন তার বক্তৃতায় বলেন  বর্তমান বাংলাদেশ সরকার  তরুণ প্রজন্মের জন্য  অবিস্মরণীয় ভুমিকা পালন করছে। তিনি আরো বলেন-  সরকার  ২০৪১ সালের লহ্ম্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবার আগে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছেন। সেই লহ্ম্য আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিহ্মার্থী বছরের প্রথম দিনই  শিহ্মা উপকরণ  পেয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তরুণ প্রজন্মকে  এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং দেশের তরুণ বেকারত্ব দুর করার জন্য বিভিন্ন  ট্রেডে ট্রেনিং ও শিক্ষা ভাতা প্রদাণ করে চাকরি নিশ্চিত করছে। যার ফলে  দেশে দহ্ম জনশক্তি  তৈরি হচ্ছে।তাই তিনি তরুণ প্রজন্মকে আহবান জানা নেশা কিংবা মাদক সেবণ করে নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে নিজ হাতে গলা টিপে না মেরে সরকারি  সকল প্রকারের সহায়তা এখনি গ্রহণ করে নিজের জীবনকে বদলে ফেলার জন্য। তিনি আরো বলেন আমাদের উন্নতি হলে সমাজের উন্নতি হবে, সমাজের উন্নতি হলে দেশের উন্নতি হবে। আর এভাবেই আমাদের দেশ বিশ্বের মানচিত্রে  তুলনীয় হবে। আর সব কিছুর জন্য তরুন্দের মাইন্ডসেট  করতে এবং পারিশ্রমি হতে বলেন। এছাড়াও  প্রয়োজনীয় সকল সেবা দাণে সরকার সবসময় তরুণদের পাশে আছেন।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক বলেন আমাদের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ । আর তাদেরই একটা অংশ বেকার। তার চাইতেও বড় কথা আমাদের দেশের নারীরা সমস- সুজোগ সুবিধা পেয়েও কোনো প্রকার চাকরি করছে না। যার কারনে  দেশ এখনো মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারেনি।  তাই জদি দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত  করতে হয় তাহলে সবাইকেই সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে।

চট্টগ্রাম  শিশু একাডেমির জেলা সংগঠক নার্গিস সুলতানা যুব সংগঠনকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষ হওয়ার জন্য আহব্বান জানান। জদি তারা তাদের নিজেদের দহ্ম করে গড়ে তুলতে পারে তবেই তারা দেশের অগ্রযাত্রায় ভুমিকা রাখতে পারবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহ্মার্থী আনিকা বুশরা বলেন যারা  ফ্রেশার বা সদ্য গ্রেজুয়েশন করেছেন বা করবেন তাদের  এক্সপ্রেরিয়ান্স ছাড়া জব দেওয়া এবং একটা স্মার্ট সেলারি নিশ্চিত করার অনুরোধ  জানান।তাহলেই আমাদের দেশের শিহ্মিত বেকারের সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব।

চট্টগ্রাম মহিলা কারিগরি টেকনিক্যাল  ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যহ্ম ইঞ্জিনিয়ার আশরিকা তানজিম বলেন নারীদের পিছিয়ে না পড়ে পুরুষের সাথে সমান তালে কাধে কাধ মিলিয়ে নিজেদের দহ্ম করে এগিয়ে যেতে বলেন। নারীদের দহ্ম করে গড়ে তোলার লহ্ম্যে মহিলা টেকনিক্যাল সব সময় নারীদের পাশে আছে।  শুধু তাই নয় বিভিন্ন ট্রেডে ট্রেনিং শেষে চাকুরির ও ব্যবস্থা  প্রদান করা হচ্ছে।

ডি ইঞ্জিনিয়ার’স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার সোমেন কানুগো বলেন আমাদের দেশের শিহ্মা ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে পুরো বাংলাদেশের সময় উপযোগী ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।  শুধু সময়ের জন্য সাথে আপনার ইচ্ছা অনুয়ায়ী  কোন পেশায় জাবেন তা আপনাকেই বেছে নিতে হবে। আপনি  আপনার জীবনের লহ্ম্য নির্ধারণ না করেই জদি একটা ট্রেডে ট্রেনিং নিলেন পরবর্তীতে কোনো চাকরি করলেন না তাহলে আপনার যথার্থ  সেবা কখনো পাবেন না। কারণ  শুধুই ট্রেনিং নেওয়ার অন্যরা সুজোগ সুজোগ থেকে বঞ্জিত হচ্ছে। অন্যদিকে আপনারাই দেশের বোঝা হচ্ছেন। তাই যথাযথ ট্রেনিং নিয়ে লহ্ম্য নির্ধারণ করে নিজের জীবন গড়তে হবে।

বিটাকের নির্বাহি পরিচালক ফারহানা আক্তার  বলেন আমরা চট্টগ্রাম  ও এর আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন যুবকদের ভিন্ন ট্রেনিং দানের মাধ্যমে সরাসরি  চাকুরী  দিয়ে থাকি। তাই চাকরি নিয়ে না ভেবে দহ্মতা  অর্জন করে চাকরির জন্য বিটাক সবসময় আমাদের পাশে  থাকবেন।

এছাড়াও  এই মেলায় যুবক দের উদ্দ্যোক্ত হওয়ার লহ্ম্যে বক্তব্য দেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কোতোয়ালি জোন এর অফিসার মোঃ জাহান উদ্দিন, উদ্যোগক্তা বিষয়ক কন্সাল্ট্যান্ট আলমগীর  মোঃ সৈকত ও বিডি জবস এর সহকারী পরিচালক মোঃজমির  হোসেন।

যুবমেলার আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব থিয়েটার আর্ট (বিটা) এর প্রধান জনাব শিশির দত্ত, প্রজেক্ট ম্যানেজার হোসাইন মনসুর, ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা) এর প্রতিনিধি ফাইনান্স ডিরেক্টর পলাশ চৌধুরী এবং একশনএইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন পলিসি ডিরেক্টর আজগর আলী সাবরি, ডেপুটি ম্যানেজার হাতেম আলী ও ইন্সপিরেটর  ফরহাদুর রহিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইপসা এর প্রোজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা ইদ্রিস।