জাহাজভাঙ্গা শিল্পে কাজের পরিবেশ পুরোপুরি শ্রমিক বান্ধব হয়নি-ইপসা
মহান মে দিবস উপলক্ষে সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ইপসা সহ চট্টগ্রামে কর্মরত বেসরকারি সংগঠন সমূহের যৌথ উদ্যোগে এক র্যালি চট্টগ্রাম এর ডিসি হিল চত্ত্বর হতে শুরু হয়ে শহীদ মিনার সম্মুখে শেষ হয়। এসময় শহীদ মিনারের সামনে এক মানব-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচীতে বিভিন্ন এনজিও, গণমাধ্যম, জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিলেন।
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা রিজওয়ানুর রহমান খান, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প-প্রতিষ্ঠান শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা রমজান আলী, নাজমা আকতার, আব্দুল কাদের, মো: জাকির এবং ইপসা’র কর্মকর্তা এবং এনজিও শিপ ব্রেকিং প্লাটফর্ম বাংলাদেশ চাপ্টারের সমন্বয়ক মোঃ আলী শাহীন প্রমূখ।
সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে ইপসা’র সমন্বয়ক মোঃ আলী শাহীন বলেন, জাহাজভাঙ্গা শিল্পের সার্বিক কাজের পরিবেশ এখনো পুরোপুরি শ্রমিক বান্ধব হয়নি। কঠিন শ্রমসাধ্য এই কাজে শ্রমিকদের দৃষ্টিতে প্রতিটা মুুহুর্তই ঝুঁকিপূর্ণ। শ্রমিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেশন গুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশের বিদ্যমান শ্রম আইনে রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে সেই সকল আইনের বাস্তবায়ন নেই। গত পাঁচ বছরেই এই শিল্পে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৯০ জনের অধিক শ্রমিক নিহতের হয়েছে। আর আহত অগণিত।
তিনি বলেন, ইপসা’র উদ্দেশ্য হলো, জাহাজ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিক অধিকার ও গৃহীত কর্মপরিবেশ উন্নয়ন নীতির আলোকে বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের কর্মক্ষেত্রের মানোন্নয়ন তথা জাতীয় জীবনে টেকসই ও উৎপাদনমূলক কর্মক্ষেত্র, স্থায়ী শিল্প সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
শ্রমিকনেতা জনাব রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প শ্রমিকদেও নিরাপত্তা ও আইনী অধিকার নিশ্চিত কল্পে মাল্টিস্টেকহোল্ডার পর্যায়ে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং জাহাজভাঙ্গা কার্যক্রমে শিশুশ্রমিক হ্রাসকরণে মালিক ও স্থানীয় জনসাধারণ কে সহযোগিতা করতে হবে।
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প-প্রতিষ্ঠান শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ও আইনী সুরক্ষা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে কার্যকর শিল্পসম্পর্ক তৈরী এবং ত্রি-পক্ষীয় সহযোগিতা সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।